টিম বাংলাদেশের জন্য মেজবানির মাংস

এমন ঈদের দিনে পরিবারের কাছ থেকে দূরে তাঁরা। মন খারাপ হওয়ারই কথা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করারও কেউ নেই। ঘুরেফিরে বেড়াবে, তা-ও নয়। ব্যাট-বল নিয়ে ছুটতে হচ্ছে মাঠে। ঈদের দিনে তাঁদের এই ত্যাগ একটি অধরাকে ছোঁয়ার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ধবলধোলাইয়ের চোখ রাঙানিই নয় শুধু, সেটি করেও দেখাতে চান টাইগাররা। 

গতকাল শুক্রবার দলের কয়েক সদস্য চট্টগ্রামে এসেছেন। বাকি সদস্যদের আজ শনিবার রাতেই চট্টগ্রামে আসার কথা। স্বজন থেকে দূরে থাকা এসব ক্রিকেটারের জন্য আজ রাতে অবশ্য একটি আনন্দের মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। রাতে তামিম ইকবালের বাসায় ঈদের খাওয়া-দাওয়ার কথা রয়েছে। টিম বাংলাদেশের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানির মাংস রান্না চলছে, এমনটি জানালেন তামিমের চাচা বিসিবির পরিচালক আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রাই এ খাবার খেতে চেয়েছেন। তাঁরা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ খাবারের স্বাদ নিতে চান।’ 
আজ রাতে মুশফিক ও সাকিবের চলে আসার কথা। অর্থাৎ মেজবানির স্বাদ পেতে পারেন তাঁরাও। 
আজ শনিবার দুপুরে অনুশীলন করলেন টিম বাংলাদেশের সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে নাসিরও ছিলেন। প্র্যাকটিস শেষে নাসির আজকের মন খারাপের বিষয়টি লুকালেন না। বললেন, ‘পরিবারকে মিস করছি, এটা নতুন নয়। এর আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও চট্টগ্রামে ঈদ করেছি। অবশ্য একটু খারাপ তো লাগছেই। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার আমরা।’
প্রায় দুই বছর দলের বাইরে ছিলেন তিনি। ঢাকা টেস্টে সুযোগ পেলেও ব্যাটে-বলে হয়নি। ম্যাচে রান বলতেই প্রথম ইনিংসের ২৩-ই। দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য। অবশ্য এ জন্য মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটকে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করালেন তিনি। তবে দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে চান নাসির হোসেন। 
চট্টগ্রামের উইকেটও মিরপুরের মতো হতে পারে বলে ধারণা করছেন নাসির। বললেন ‘ওটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল না। কোনো দলই চার ইনিংসে ২৫০ কিংবা ৩০০-এর বেশি করতে পারেনি। সুযোগ পেলে ভালো খেলার চেষ্টা করব। দল যা চায়, তা-ই করব।’ 
দলে সতীর্থদের মন-মানসিকতাসহ শরীরী ভাষায় যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান পুরো দল। আর তাই বাগে পাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে নিজেদের মাত্র ৮০ ভাগ দিতে পারলেই যথেষ্ট মনে করছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। আত্মবিশ্বাসী নাসির বললেন, ‘আমাদের ভালো সুযোগ রয়েছে। প্রথম ম্যাচ জিতেছি। আমি মনে করি আমরা ৮০ ভাগ খেলতে
পারলেই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারব।’

Comments